All post of 'কবিতা'

শবে কদর

আজও হতে পারে শবে কদর আসুন শবে কদরে কাঁদি রাত জাগা পাখি হয়ে থাকি। বিনিদ্র অশ্রু সিক্ত চোখে অন্ধকারে একা একা আকাশের দিকে তাকিয়ে দুই হাত বাড়িয়ে গুন গুন মৃদু সুরে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে শুধু আল্লাহকে ডাকি, প্রভুকে ডাকি, রবকে ডাকি। মনের যত দুঃখের কথা বলি মনের যত চাওয়া পাওয়ার কথা বলি যত ইচ্ছা .....

ব্যক্তিগত চিঠি

আমাকে ওগো হে-গো বলে একটা চিঠি লিখো না এটা হবে তোমার প্রথম চিঠি আমি লেমিনেটিং করে রাখবো আমার বুকের সিন্দুকে কখনো হারাতে দিবোনা। তুমি যদি কখনো হারিয়ে যাও তখন এই চিঠিই থাকবে আমার সম্বল আমি চিঠিটা পড়বো যখন তোমার কথা মনে পড়বে যখন তোমার স্মৃতিতে আমি কাতর থাকবো তোমার ওই মায়াবী চেহারা ভেসে থাকবে .....

ঠোঁট কাঁপা কথা

আমি কেঁদেছি, শুধুই কেঁদেছি কেঁদেছি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছি মনের যত দুঃখ নিয়ে মুখে কিছু বলিনি শুধু হাত তুলে রেখেছি কিছু চাইও নি শুধু অশ্রু ঝরিয়েছি হাত ভিজিয়েছি, বুক ভাসিয়েছি তারপরেও কিছু বলতে পারিনি। কিবা বলব, কাকে বলব? তিনি তো সব দেখেন, সব জানেন তিনি তো বোঝেন, ঠোঁট কাঁপা কথা লুকানো চাপা ব্যথা। আমি শুধুই .....

ভালোবাসা

আমাকে ভালোবাসতে খুব বেশি কিছু লাগেনা এই একটু মুচকি হাসি একটু পাশে এসে বসা একটু গাল-গল্প অল্প-স্বল্প মান অভিমান। শুক্রবারে বেড়াতে যাওয়া, ফুচকা খাওয়া শনিবারে সিনেমা দেখা সকালে এক কাপ কড়া লিকারের চা বিকেলে ঝাল মুড়ি সন্ধ্যায় আলু পুরি আর শুধু পাশে বসে আমার কাঁধে তোমার মাথা শুধু এতেই হবে আমাকে ভালবাসা হয়ে .....

চাহিদা

আমরা যারা পাখি ড্রেস খুঁজছি তিন সেট পূর্ণ না হওয়াই মন খারাপ করছি আমরা যারা পাশের বাড়ির ভাবির শাড়ির সাথে তুলনা করে বলছি, “হায় আল্লাগো তুমি আমারে এতো কম দামি শাড়ি কেমনে দিলা”। আমরা যারা পাঞ্জাবি কিনে বাসায় গিয়ে বলছি, “কি পাঞ্জাবি কিনলাম, পুরাই ঠকছি”। আমাদের জন্য কিছু কথা এসো রাতের শহরে, একটু ঘুরে .....

খোলা চিঠি

একটি চিঠি নাম নেই, ঠিকানা নেই। লেখা আছে যত দু:খের কথা, যত সুখের কথা। অনেক পাওয়া-না-পাওয়ার কথা। প্রথম সাক্ষাতের সেই চোখ দেখা-দেখি। শেষ বিকেলের সেই বিদায়। আজ চিঠিই একমাত্র সাক্ষী। অনেক গোপনীয়, খুব ব্যক্তিগত এক চিঠি। কেউ জেনে গেলে লজ্জা পড়ে ফেললে সর্বনাশ। চিঠিটি আজ আকাশের ঠিকানায় দিলাম ছেড়ে কেউ জেনে গেলে জেনে যাক .....

কিংকর্তব্যবিমূঢ়

প্রাণঘাতী স্বপ্নভঙ্গের চাপা নিঃশ্বাসে আমি আর্তনাদ করিনি আকস্মিক দুর্বিপাকে পিষ্ট মন নিয়ে মর্মপীড়ায়ও ভুগিনি দুমড়ানো মুচড়ানো হৃৎস্পন্দনের অন্তর্দাহেও শিহরিত হইনি নির্বোধ গোমূর্খের মত আত্ম-চিৎকারে আকাশ বাতাসকেও ভারি করিনি অবসন্নতাপূর্ণ ছলছল ঝলঝল চোখের নৈরাশের দৃষ্টিতেও তাকিয়ে থাকিনি। অসাড়তায় জড়তাগ্রস্ত ঊর্ধ্বশ্বাসের কণ্ঠস্বরে কথাও আটকে যায়নি বিচারবুদ্ধিহীন কর্মকাণ্ডের বিষাদে ডুবে নিজের অস্তিত্বকেও সংকটাপন্ন করিনি। প্রতিশ্রুতির জিঞ্জির স্ব-মূলোৎপাটনের .....

খোদার দরবারে ধরনা

আমার মনের চাপা কথাগুলো বলার মত যখন কাওকে পাইনা তখন এলোমেলো ভাবে ডায়রিতে লিখে রাখি। যখন ডায়রি ও কলম খুঁজে পাইনা তখন মনের কথাগুলো মনেই থেকে যায়। যখন মনের মধ্যে এক অদ্ভুত তোলপাড় সৃষ্টি হয় তখন আর কাওকে না বলে পারিনা। একমাত্র মহান প্রভুর কাছে ধরনা দেয়া ছাড়া আর উপায়ও থাকেনা। মনের একান্ত কথা .....

হারিয়ে যাবো

কথা ছিল হারিয়ে যাবো কোন চাঁদনি রাতে দূর্বাঘাসে, অচিন কোন পাথরে হেলান দিয়ে আনমনে হয়ে তারা গোনার মাঝে। জোনাকির মিটিমিটি আলোয় সাজিয়ে নিবো নিজের মনকে। ঝিঁঝিঁ পোকার ঝিঁঝিঁ গানের সূরে হারিয়ে যাবো কোন রঙিন স্বপ্নের মাঝে। স্বপ্ন ভাঙ্গবে টিপটিপ বৃষ্টির ফোঁটায় কুয়াশাচ্ছন্ন ঝাপসা প্রভাতে। খালি পায়ে হাঁটবো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তায় মাথা দিয়ে বসে থাকবো .....

স্বপ্নের মাঝে বাস

আমার স্বপ্নগুলো খুব এলোমেলো খুব বিক্ষিপ্ত বিচিত্র। মাঝে মাঝে স্বপ্নগুলো বড্ড বাড়াবাড়ি করে আমাকে জাগিয়ে রাখে স্বপ্নের রাজ্যে। নিস্তব্ধ রাতের গভীরতায় চলে স্বপ্নের সাথে যুদ্ধ। নির্ঘুম চোখের স্বপ্নের সাক্ষী হয় বালিশের পাশের ডায়রি। কলমের খসখসে আওয়াজে চলে স্বপ্নের বুনন। পাতার প্রতি পরতে পরতে আঁকা থাকে রঙিন স্বপ্নগুলো। এখানে শুধু স্বপ্নের মাঝে আমার বাস আমি .....