All post of 'March, 2018'

খোলা চিঠি

একটি চিঠি নাম নেই, ঠিকানা নেই। লেখা আছে যত দু:খের কথা, যত সুখের কথা। অনেক পাওয়া-না-পাওয়ার কথা। প্রথম সাক্ষাতের সেই চোখ দেখা-দেখি। শেষ বিকেলের সেই বিদায়। আজ চিঠিই একমাত্র সাক্ষী। অনেক গোপনীয়, খুব ব্যক্তিগত এক চিঠি। কেউ জেনে গেলে লজ্জা পড়ে ফেললে সর্বনাশ। চিঠিটি আজ আকাশের ঠিকানায় দিলাম ছেড়ে কেউ জেনে গেলে জেনে যাক .....

কিংকর্তব্যবিমূঢ়

প্রাণঘাতী স্বপ্নভঙ্গের চাপা নিঃশ্বাসে আমি আর্তনাদ করিনি আকস্মিক দুর্বিপাকে পিষ্ট মন নিয়ে মর্মপীড়ায়ও ভুগিনি দুমড়ানো মুচড়ানো হৃৎস্পন্দনের অন্তর্দাহেও শিহরিত হইনি নির্বোধ গোমূর্খের মত আত্ম-চিৎকারে আকাশ বাতাসকেও ভারি করিনি অবসন্নতাপূর্ণ ছলছল ঝলঝল চোখের নৈরাশের দৃষ্টিতেও তাকিয়ে থাকিনি। অসাড়তায় জড়তাগ্রস্ত ঊর্ধ্বশ্বাসের কণ্ঠস্বরে কথাও আটকে যায়নি বিচারবুদ্ধিহীন কর্মকাণ্ডের বিষাদে ডুবে নিজের অস্তিত্বকেও সংকটাপন্ন করিনি। প্রতিশ্রুতির জিঞ্জির স্ব-মূলোৎপাটনের .....

খোদার দরবারে ধরনা

আমার মনের চাপা কথাগুলো বলার মত যখন কাওকে পাইনা তখন এলোমেলো ভাবে ডায়রিতে লিখে রাখি। যখন ডায়রি ও কলম খুঁজে পাইনা তখন মনের কথাগুলো মনেই থেকে যায়। যখন মনের মধ্যে এক অদ্ভুত তোলপাড় সৃষ্টি হয় তখন আর কাওকে না বলে পারিনা। একমাত্র মহান প্রভুর কাছে ধরনা দেয়া ছাড়া আর উপায়ও থাকেনা। মনের একান্ত কথা .....

হারিয়ে যাবো

কথা ছিল হারিয়ে যাবো কোন চাঁদনি রাতে দূর্বাঘাসে, অচিন কোন পাথরে হেলান দিয়ে আনমনে হয়ে তারা গোনার মাঝে। জোনাকির মিটিমিটি আলোয় সাজিয়ে নিবো নিজের মনকে। ঝিঁঝিঁ পোকার ঝিঁঝিঁ গানের সূরে হারিয়ে যাবো কোন রঙিন স্বপ্নের মাঝে। স্বপ্ন ভাঙ্গবে টিপটিপ বৃষ্টির ফোঁটায় কুয়াশাচ্ছন্ন ঝাপসা প্রভাতে। খালি পায়ে হাঁটবো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তায় মাথা দিয়ে বসে থাকবো .....

স্বপ্নের মাঝে বাস

আমার স্বপ্নগুলো খুব এলোমেলো খুব বিক্ষিপ্ত বিচিত্র। মাঝে মাঝে স্বপ্নগুলো বড্ড বাড়াবাড়ি করে আমাকে জাগিয়ে রাখে স্বপ্নের রাজ্যে। নিস্তব্ধ রাতের গভীরতায় চলে স্বপ্নের সাথে যুদ্ধ। নির্ঘুম চোখের স্বপ্নের সাক্ষী হয় বালিশের পাশের ডায়রি। কলমের খসখসে আওয়াজে চলে স্বপ্নের বুনন। পাতার প্রতি পরতে পরতে আঁকা থাকে রঙিন স্বপ্নগুলো। এখানে শুধু স্বপ্নের মাঝে আমার বাস আমি .....

ব্যক্তিত্বের কান্না

স্বাভাবিক ভাবে আমার মনটা একটু শক্ত একটু অন্য প্রকৃতির, একটু ভাবুক প্রকৃতির। কোন হৃদয় বিদারক বীভৎস দৃশ্যও মাঝে মাঝে আমার মনকে ছুঁতে পারে না। যা একটু অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি, এতটুকুই যা। আমার চোখের পানিকে সহজে জমাট বাঁধতে দিই না। ভেতরের দুমড়ানো মচকানো স্মৃতিপটের দৃশ্য আর আবেগ তাড়িত কোন ঘটনাকেও আমি ধারে কাছে ঘেঁষতে .....

মাসের শুরুর চিঠি

এই শোন না আমার এই মাসের মাইনে হয়েছে ফজলুর চালের দোকানের তিন’শ পঞ্চাশ টাকা বাকি দিয়ে দিয়ো রহমতের মায়ের ধার করা দশটি দেশি মুরগির ডিম পরিশোধ করো। তোমার ছোট ননদের জন্য চুল বাঁধার লাল ফিতা  দেবরের জন্য ওর শখের স্কুল ব্যাগ তোমার শ্বশুরের জন্য সাদা পাঞ্জাবি শাশুড়ির জন্য নতুন জায়নামাজ কিনেছি। সবার জন্য তো .....

নিঃশব্দ কান্না

সব ধরনের কান্না দৃশ্যমান হয় না কিছু কান্না হয় নীরবে নিভৃতে। জমে থাকা কষ্টের নোনা পানি চোখের কোটরে আসার আগেই টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলি। না হয় চোখে পোকা পরেছে ভান করে দু’হাতে চোখ কচলে লাল চোখে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকি। মাঝে মাঝে বেসিনের পানির ঝাপটাতে দু’এক ফোঁটা চোখের পানি মিলিয়ে যায়। নেহাৎ নিরুপায় হয়ে .....

অপেক্ষা

আমি বাড়ি ফিরছি ঠিক মাগরিবের আজানের আগে করে তুমি জানালার কাছে থেকো রিকশার টিংটিং শুনলে দরজা খুলে দিও এর আগে খালি কলসি পুরানোর ভান করে বারবার পুকুর ঘাটে গিয়ে আমার আসার রাস্তায় তাকিয়ে থেকো গত বছর আমার কিনে দেয়া ওই লাল পাড়ের হলুদ শাড়ি পড়ে থেকো আসতে একটু দেরি হলে ঢাকা থেকে পাঠানো সুগন্ধি .....

অভিমান

থাক। আমাকে আর ভালোবাসতে হবেনা। আমার কাছে এসে বসতে হবেনা কথাও বলতে হবেনা। আমি যেমন আছি তেমনই থাকবো, আমি নয়টায় ঘুম থেকে উঠে দশটায় নাস্তা করবো। থাক। আমি বাসি নাস্তাই খাবো। কেউ আমাকে আদর মাখা কণ্ঠে ওগো, হেগো বলে ডেকে দিতে হবেনা ঘুম থেকে আমি একাই উঠতে পারি। যার মনের শূন্য বিরান ঘরে বাস .....