All Post

শাকিল নামের ছেলেটি

দরজায় ঠকঠক কড়া নাড়ার শব্দ। চিকনা লিকলিকে লম্বা গড়নের একটা ছেলে। ঘরে ঢুকেই সালাম দিলো। কানে ইয়ার-ফোন, শার্টের বোতাম খোলা, উসকো খুসকো চুল, চাল চলনে দেখতে পুরাই পাঙ্খা! পরিচিত হয়ে জানতে পারলাম ছেলেটির নাম শাকিল। এই প্রথম ঢাকাতে এসেছে। প্রথম সাক্ষাতেই সে আমাকে বললো, “আংকেল…!!” আংকেল ডাক শুনে আমি একটু অপ্রস্তুত ও কিছুটা হতাশ .....

পাহাড়ের দেশে, মেঘের সাথে

সুন্দরবন নাকি কেওক্রাডাং এনিয়ে চরম বিতর্ক এরপর ইনফরমেশন কালেকশন, প্লানিং।  সুন্দরবনে যাওয়ার খরচ শুনে সবার মাথায় হাত! আর কেওক্রাডাং এই গরমে গেলে মাথায় আইচ ব্যাগ দিয়ে রাখতে হবে! শেষ পর্যন্ত নতুন প্লান আমরা সাজেক যাচ্ছি খাগড়াছড়ি হয়ে, সাথে ফ্রি টুর চট্টগ্রাম। যাত্রার সঙ্গী, টিপু, জিসান আর কবি মুহাম্মাদ আবদুল গাফ্‌ফার। টিপু হলো আমাদের ম্যানেজার, .....

বিছনাকান্দির প্রেমে হারিয়ে যাওয়ার একদিন

ঠিক বিকেল ৪টায় ক্যানটিনে ডাবল টি-ব্যাগের চা পানে নির্জীব মনকে একটু সজীব করা আমার বাধ্যতামূলক অভ্যাস। চায়ের সঙ্গী হয় জয়, তোফায়েল আর মাঝে-মাঝে সৌরভ ভাই। জয় দেখতে সুঠাম দেহী হলেও বয়সে আমার ছোট, তাকে যে কোন কথা বলতে তেমন মুখে আটকাইনা। তোফায়েল সম-বয়সই হলেও অফিশিয়ালি আপনি করে বলি, তারপরেও খাতিরের অভাব নেই, মাঝেমাঝে রেগে-মেগে .....

সাগর কন্যার খোঁজে কুয়াকাটায়

জীবন যুদ্ধের করাল গ্রাসে পৃষ্ঠ হয়ে এই জীবনকে বয়ে চলছি দু’পায়ে। ছোট্ট এই জীবনকেও আজ অনেক ভারী মনে হচ্ছে। ভার বহনে অক্ষম পরিশ্রান্ত এই মন আর চলতে চায় না। পিলে চমকে পিছে তাকাই, পালিয়ে বেড়ায় জীবন থেকে। পালিয়ে বেড়াতে এইবারের যাত্রার গন্তব্য সাগর কন্যা কুয়াকাটায়। অফিস শেষে কাঁধে ছোট এক ব্যাগ ঝুলিয়ে এক সন্ধ্যায় .....

নিম্ন মধ্যবিত্ত ব্যাচেলর ফেসবুক সেলিব্রেটি

আধা-পাকা চুল, আর আয় বুড়ো খোঁচা-খোঁচা দাড়িওয়ালা সেন্টু মিয়ার দুঃখের শেষ নেই। দুঃখও কেউ বুঝেনা। যেমন সে দিন সেন্টু মিয়া ইশারা ইঙ্গিতে তার মাকে বললো, “মা, মাথার চুল সব সাদা হয়ে যাচ্ছে”। সেন্টু মিয়ার মা সরাসরি উত্তরে বলল, “তবে, মেহেদি লাগাও”। এবার কুরবানির ঈদে আরেক বার সুযোগ পেয়ে তার মাকে আবারও বললো, “মা, মাগো… .....

অচিন পাখির প্রেম

“আজ কেমন যেন লাগছে সব কিছু হঠাৎ করে ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে বেড়িবাঁধে বসে-বসে ভাবছে পাভেল আজ সুখের সব কেন্দ্রস্থল থেকে বিচ্ছুরিত হতে যাচ্ছি” দূরে খেলার মাঠ আর নদীর দিকে তাকিয়ে, “ইস! এই মাঠে বুঝি আর খেলা হবে না, খেলা শেষে দৌড় দিয়ে বন্ধুদের সাথে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া হবে না” । আজ সে নিজের সোনার .....

দ্যা বাঁশের খুঁটির ব্যাংক ইজ হ্যাকড

ওয়ানস আপন এ টাইম ইন দ্যা ইয়ার অব ১৯৯৮। তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। রোজ রোজ ক্রিকেট ম্যাচের টাকা আর নতুন ব্যাট-বল কিনার টাকা আম্মার দেওয়ার টিফিনের টাকা থেকে বাঁচিয়ে ঠিক পুষিয়ে উঠতোনা। অথচ অন্যদিকে আমার ছোট আপা দিব্যি টিফিনের টাকা জমিয়ে পরে আম্মাকেও দিতো ওনার হাতের টাকার টান পরলে। আম্মার বিশ্বাসভাজন কন্যা বা .....

আলিফ-লায়লা

তখনো সন্ধ্যা নামেনি, এরই মধ্যেই আম্মার ডাক, ‘তাড়াতাড়ি ঘরে আই’। লাল চায়ের সাথে মুড়ি খেয়ে সন্ধ্যায় পড়তে বসাযে কি কষ্টের আম্মা এ কথা বুঝতেই চাইতেন না। সারাদিন শুধু একই কথা, ‘পড়’, ‘পড়’…। আর এমনিতেই লাল চা আর মুড়ি আমার দু’চোখের বিষ। আম্মাকে যখনিই বলি, আম্মা খিদে লাগছে, আম্মার ওই একই কথা, “যা মুড়ি খা”। .....