সেপ্টেম্বর মাসের গল্প
ও আল্লাহ্, সেপ্টেম্বর মাসের আর কত দিন?
জুম্মার নামাজ পড়ে পাঞ্জাবির পকেটে দুইটা ডিম আর কালো পলিথিনে প্যাঁচানো এক প্লেট ভাত নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। যেতে যেতে পকেটে থাকা শুধুমাত্র ৫০ টাকার দিকে বারবার খেয়াল করছি। টাকাটা একবার পকেটে আবার হাতে রাখছি। অতি সর্তকতার জন্য মাঝে মাঝে আমি এমনটা করে থাকি। এই শুধুমাত্র ৫০ টাকা দিয়ে বিকেলের নাস্তা আর কাল শনিবার চলতে হবে। আর রবিবারের ব্যবস্থা রবিবারে দেখা যাবে। অনেকটা দিনে এনে দিনে খাওয়ার মত।
আজ সকালে তো ১০ টাই ঘুম থেকে উঠে দুইটা টোস্ট বিস্কুট আর এক কাপ কফি দিয়ে সকালের নাস্তা বাঁচিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুপুরে তো আর উপায় নাই। চিন্তা হতেই কম্পিউটারের কাজের দিকে মন দিলাম। কিছু অনুপ্রেরণা মূলক গল্প পড়লাম। এই অনুপ্রেরণাতে আরও ঘণ্টা দুই-এক পেটের অবস্থা শান্ত আর স্বাভাবিক ছিলো।
সবসময় তো আর মানুষের জীবনে বসন্ত থাকেনা। মাঝে মাঝে এমন হয়, পকেটের অবস্থা চৈত্রের খরা দুপুরের মত হয়ে যাই। ডেক্সের ভিতর বা আগের পড়া কোন শার্টের পকেটে খুঁজা-খুঁজি করি। ৫ টাকার সিকি পয়সা বা একটা পুরাতন ১০ টাকার নোট যদি পাওয়া যাই। এমন অবস্থাতে আবার দোকানে গিয়ে চা-নাস্তা খাওয়া আরও বিপদ জনক। যদি পরিচিত কোন জন এসে হাজির হন, আর বলেন, “আরে হায়দার ভাই, অনেক দিন দেখা নাই, খাওয়া নাই”। তাহলে তো দোকানিকে নিজের গায়ের জামা খুলে দিয়ে আসতে হবে।
তারপরেও বেশ আছি, ভালো আছি। এটা সত্য, বাস্তব সত্য। আলহামদুলিল্লাহ্।
Leave a Reply