নিষ্ক্রিয় বিবেক বনাম সক্রিয় স্বাধীনতা
শুধু মুসলমানের লাগি আসেনি তো ইসলাম, বিশ্ব মানবতার কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান । ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় যেমনি মুসলমানেরা উপকৃত হবে তেমনি অমুসলিমদেরও সকল অধিকার রক্ষা পাবে । কোনো ধর্মই জোর করে কাউকে ঐ ধর্মের অনুসারী করে না, করাটাও সমীচীন নয় । মানুষ জন্মলগ্ন থেকে আল্লাহর কাছ থেকে দুইটা জিনিস পায়, একটা হলো তার বিবেক অন্যটা তার কর্মের স্বাধীনতা । মানুষ তার বিবেককে কাজে লাগিয়ে যাচাই বাছাই করে বেছে নিবে সে কোন ধর্মের অনুসারী হবে কি, হবে না । অনুসরণ না করলেও কারও কোনো মাথা ব্যথার কারণ নেই কারণ এইটাই তার স্বাধীনতা । এখন স্বাধীনতা মানে এই নয় যে আমি যেমন খুশি তেমন কাজ করবো, স্বাধীনতার নামে আমি অন্যের অধিকার স্বাধীনতা হরণ করবো ।
নির্দিষ্ট বর্ণ গোত্রের জন্য আল্লাহ যুগে যুগে অনেক নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য । আর শেষ নবী হিসেবে পাঠিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) কে, যিনি হলেন সবার নবী, তাইতো ওনাকে বিশ্ব নবী বলা হয় । স্বয়ং আল্লাহ-ই ওনাকে বাছাই করে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য পাঠিয়েছেন । তিনি হলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন, আল্লাহ যাকে সৃষ্টি না করলে বিশ্ব জাহানের কোনো কিছুই সৃষ্টি করতেন না, তিনিতো হলেন সবার প্রিয়, সবার ভালবাসার, সবার শ্রদ্ধার যার সম্মান রক্ষা করতে জীবন দেয়া যায়, যার শানে দরূদ পরে মন কে শান্ত করা যায় ।৯০% মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ শুনতে যেমন ভালো লাগে তেমনি আবার খারাপ লাগে যখন শুনি এইবার আর অন্য কোনো দেশে নয়, অন্য কোনো ধর্মের নয় মুসলমান নামধারী কিছু মানুষরূপী কুৎসিত মানসিকতা সম্পূর্ণ কিছু লোক আমাদের জানের নবীকে নিয়ে কটূক্তি করেছে, ঐ নাস্তিকেরা যা লিখেছে কোন ঈমানধারী মুসলমান ঐ লিখা পড়ে শেষ করা দূরের কথা দুই লাইন পড়লেই ঐ লেখা তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিবে । অথচ ৯০% মুসলমানদের দেশে এমনটির করার সাহসের পিছনে কোন কালো থাবা আছে কিনা, কাদের মদদে ওদের বলগা হারা সাহস আজ হাজারো মুসলমানের মনে আগুন ধরিয়ে দিলো । তাদের শাস্তিতো দুরের কথা, যারাই এই সব ছাইপাঁশ লিখছে তাদেরকে কারা আমরা পুষ্প মাল্য দিয়ে বরণ করে নিচ্ছি, তাদেরকে বাহবা দিচ্ছি, তাদের পক্ষে কথা বলছি! এখন চিন্তা করা উচিত আমরা কেমন মুসলমান, কেমন আমাদের ঈমান । স্বাধীনতার নামে এইসব অনীশ্বরবাদীদের এখনি থামিয়ে দেয়া না হলে আবার জম্ম নিবে নমরূদ, ফেরাউনের মতো খোদা দ্রোহী সত্তা যারা এক সময় নিজেকেই খোদার আসনে বসিয়ে দিবে, আর তাদের দাবানলে জ্বলতে থাকবে তাদের প্রভুত্বের অস্বীকার-বাদীরা। তাই আসুন আমরা ঈমানের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, প্রিয় রাসূল(স:) ভালবেসে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয় । কারণ নবীকে ভালোবাসা ছাড়া ঈমানের পরিপূর্ণতা সম্ভব নয় “ রাসূলুল্লাহ (স:) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার পিতা, সন্তান ও যাবতীয় লোকজন থেকে আমাকে অধিক ভালবাসতে না পারবে সে পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না ”(বুখারী,মুসলিম) ।
লেখা: রাশেদুল হায়দার
Leave a Reply