স্যার!
যে মানুষের জুতা নিজের বগলের নিচে রাখার কথা। যার সামনে চেয়ারে বসা অসৌজন্যতা। যাকে দেখলে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়।
যার সামনে দাঁড়িয়ে শুধু মাথা চুলকাতে হয়। অন্য কোন কথা বলা যায় না। দাঁড়িয়ে মুখস্ত কথা ভুলে এম.এম… করতে হয়।
যার কাছ থেকে মানুষ-অমানুষ বানান শিখেছি। ‘ম’ দিয়ে মানুষ হয়, ‘প’ দিয়ে পশু হয় শিখেছি।
তিনি আমাদের স্যার, আমাদের শিক্ষক।
ছবির ব্যক্তিটির সাথে আমার কেন রক্তের সম্পর্ক নেই। উনি আমাদের মামা-চাচা কিছুই না। উনি শুধুই আমাদের স্যার। এই স্যার হলেই শেষ। অন্য আর কোন সম্পর্কের দরকার পড়ে না।
যেকোন স্যারের উপর হামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়া উচিত। এবং শুধুমাত্র শিক্ষকেদের উপর হামলার শাস্তির আলাদা কোন আইনের ধারা থাকা উচিত। একজন শিক্ষকের উপর হামলার বিচার আমরা দেখছি, শুনছি, ভাবছি টাইপের হওয়া উচিত নয়!
হামলাকারী কে? কোথাকার? কোন রঙের? কোন বংশের? এসব বাদ দিয়ে, জাস্ট সে একজন স্যারের উপর হামলা করেছে এজন্যই বিচার হওয়া উচিত।
একজন স্যারের উপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
— রাশেদুল হায়দার
Leave a Reply