ব্যাচেলর নিয়ে কে কি ভাবছেন?
ব্যাচেলর ছাত্র:
একজন ব্যাচেলরের নিজের হাতের ডিম ভাজি সদ্য বিয়ে করা কোন নব বধূর হাতের বিরানির চেয়েও সুস্বাদু।
ব্যাচেলর ফেসবুকার:
চৌধুরী সাহেব “তুইব্যাচেলর, তুই ব্যাচেলর”বলেগালিদেবেননা, ব্যাচেলররাও মানুষ তাদেরও স্ট্যাটাস আছে।
একজন ব্যাচেলর ঘন ঘন ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেন। কারণ, একটি সুন্দরভদ্র ছবিই পারে জীবনকে বদলিয়ে দিতে।
শিক্ষক:
একজন ব্যাচেলরের বয়স তার মানের ব্যস্তানুপাতিক, বয়স যত বাড়তে থাকে মান তত কমতে থাকে।
ডাক্তার:
প্রকৃতিগত ভাবে একজন ব্যাচেলরের চুল পাকতে পারে, এতে বয়সের সম্পূর্ণ বা আংশিক কোন সম্পর্ক নেই।
ইঞ্জিনিয়ার:
ব্যাচেলরদের ক্যারেক্টারস্টিক্স-কার্ভ অনেক হাই-এ থাকে, তা কখনো হয়তো নষ্ট হতে পারে কিন্তু কখনোলো হবে না, এটা গ্যারান্টি।
গবেষক:
একজন ব্যাচেলরের সফল ভাবে প্রেম চালিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো, সে আর ব্যাচেলর থাকছেনা।
অফিসের বস:
একজন ব্যাচেলরের অফিসে খাওয়ার কোনো লাঞ্চ বক্স নেই কারণ, খালি লাঞ্চ বক্স দিয়ে সে কিকরবে?
অর্থনীতিবিদ:
একজন ব্যাচেলর এর কয়টা জি.এফ থাকবে সেটা তার মোবাইলের ধরণ ও পকেটের টাকার পরিমানের উপর নির্ভর করবে।
ব্যাচেলর সাহিত্যিক:
আমার বাপ-দাদাও একসময় ব্যাচেলর ছিল এটা আমার জন্য অনেক গৌরবের।
আমার পরবর্তী বইয়ের নাম: একজন ব্যাচেলরের ৩০ বছর।
রাজনৈতিক নেতা:
আমি একদিন ব্যাচেলরদের জন্য পূর্ণবাসন কেন্দ্র খুলব, আমি তাদেরকে দুই বেলা ভাত, তিন বেলা নাস্তা খেতে দেব।ব্যাচেলরাও তাদের অধিকার নিয়ে যুগযুগ ধরে সমাজে বেঁচে থাকবে।
বিবাহের পরেও যারা ব্যাচেলর সেজে ব্যাচলর লাইপের মজা নিচ্ছে, এবং নিজেদেরকেবিবাহিত-ব্যাচেলর প্রমাণ করার চেষ্টা করছে, এইসব অযুক্তিক টাইপের ব্যপারের জন্য আমি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি। এবং এর সুষ্ঠ নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারেরও জোর দাবী জানাচ্ছি।
মানবাধিকার কর্মী:
ব্যাচেলর কে ভালোবাসুন, সময়দিন, কাছে টানুন…বিশ্বাস করুন এরপর আর তারা ব্যাচেলথাকবে নানা।
টক-শো ওয়ালা ব্যাচেলর:
: আরে….. আপনিও শুনেছি, ব্যাচেলর!
: হ্যাঁ…. . আমিও একজন ব্যাচেলর, তো……. আপনি ওতো একসময় ব্যাচেলর ছিলেন…. ।
:….টুট টুট…..
:….টুট টুট…..
বাড়িওয়ালা:
ব্যাচেলরদের কাছে আমি বাড়ি ভাড়া দিতে চাই না, কারণ আমার মেয়ে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট একজন ব্যাচেলর।
ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া:
আমি একজন গর্বিত ব্যাচেলর, কারণ বাড়িওয়ালার কলেজ পড়ুয়া উপযুক্ত মেয়ে থাকা সত্ত্বেও আমাকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছে।
বিবাহ উপযুক্ত ব্যাচেলর:
ব্যাচেলরের খাট-পালঙ্ক, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, সোফা ইত্যাদি আসবাবপত্র থাকে না। কারণ, শ্বশুর বাড়ি থেকে গিফট পেলে ঘরে জায়গা হবে না।
নতুন জামাই:
যেই চৌধুরী সাহেব একদিন “তুইব্যাচেলর, তুই ব্যাচেলর”বলেগালিদিয়েছিল, সেই চৌধুরী সাহেব এখন আমার শ্বশুর।
বিবাহিত ব্যাচেলর:
যে জীবন থেকে এক বার পালিয়ে গেলে আর ফিরে আসা যায় না, সেটা ব্যাচেলর জীবন।
লেখাটি ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর রস-আলো তে প্রকাশিত
Leave a Reply