বাজার ও গরু বিশেষজ্ঞ
পুঁইশাক আঁটি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ৪০ টাকা, কলার ডজন ১২০ টাকা মাত্র!
গত কয়দিন আগে যে কলাওয়ালা মামা ডেকে বলতেন, “মামা কেলা নিয়ে যান! ভালা কেলা!”
সেই মামু এখন এই মামুরে আর পাত্তা দেয় না, চিনেও না!
কেমনে কি?
তাই মাননীয় স্পিকারের কাছে অনুরোধ, মাননীয় স্পিকার, রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করে, ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করুন। ব্যবসায়ীদের থেকে কমিশন যারা খায় তাদেরকে প্রতিদিন ১০০ কেজি গরুর গোস্ত কিনার শাস্তি দিন।
আবার আমজনতার অবস্থা দেখেন।
কয়দিন পর ফর্সা ফর্সা আম বের হবে। আম পাড়ার সিজনের আগে আম কিনবেন না। কয়দিন দাঁতে খিল মেরে থাকুন। এরপরও দাঁত বেশি কিটমিট করলে ক্লোজআপ দিয়ে বাঁশ করুন। তারপরও বেশি দামের জিনিস কিনার প্রতিযোগিতা করবেন না। বেশি দামে কিনলে যে বেশি নেকী হবে তা কিন্তু নয়। বরং কম খান, ভালো থাকুন।
কলার দাম বেশি হলে পেঁপে কিনুন। লেবুর দাম বেশি হলে বেল কিনুন। আর বেলের দাম বেশি হলে বিসমিল্লাহ্ বলে সাদা পানি খান।
খেয়ে আলহামদুলিল্লাহ পড়ুন। দেখবেন, পেট ভরে যাবে, তৃপ্তিতেও পরিপূর্ণ হবে।
আরেকটা সোজা-সাপ্টা কথা বলে রাখা ভালো। রমজান উপলক্ষে গরুর গোস্তের দাম যে বাড়লো, এতে গরুবাসীর কোন দোষ নাই! আমাদের আমজনতার মত, গরুরাও নিরীহ প্রাণী! শুধুশুধু গরুদের দোষ দিয়ে গরু জাতীকে অপমান করা থেকে বিরত থাকুন! একটা কথা মনে রাখবেন, গরুরা কিন্তু আমাদের খাঁটি দুধ দেয়। পরে এই খাঁটি দুধে পানি কিন্তু আমরা মিশায়, গরুরা না! তাই গরুদের দোষ না দিয়ে গরুদের সাথে মিলে মিশে থাকুন।
ধন্যবাদ।
— রাশেদুল হায়দার
বাজার ও গরু বিশেষজ্ঞ।
Leave a Reply