All post of 'গল্প'

গল্প: ‘ডাবল সারপ্রাইজ’

রিকশাওয়ালা প্যাডেল মেরে চলছে। মার্কেটের দিকে। পাশে বউ। এটা আমার বউ। আমার বিয়ে করা বউ। আজ আকাশে কোন চাঁদ নেই। দিনের বেলায় চাঁদ থাকে না। সূর্যের খরতাপে রিক্সায় হুড তোলা। আমি খুব উত্তেজনায় আছি। বউ আমাকে একটা সারপ্রাইজ দিবে। আমার ৩১তম জন্মদিনের সারপ্রাইজ।একদিন হঠাৎ কাছে এসে বলে তোমার জন্মদিনে আমি তোমাকে একটা গিফট দিতে .....

গুগল মামার হোম কোয়ারেন্টাইন!

লক্ষ্মীটি, এমন করো না, করোনা! এই ’লক্ষ্মীটি’ কে? কাকে তুমি আমার সাথে তুলনা করছো? এমন ’করোনা’ কালে সোশ্যাল মিডিয়া এই স্ট্যাটাস পর্যন্ত বউ ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ে নিচ্ছে। বিবাহিত পুরুষরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা আর কারাগারে সশ্রম কারাদণ্ডে থাকা একই কথা। কমোড পরিষ্কার, ঘনঘন বেসিন পরিষ্কার, জানালার কাঁচ পরিষ্কার থেকে শুরু করে বউয়ের নকশি কাঁথার সুতো .....

ভালোবাসি, ভালোবাসি

ভোরের সকাল। আজকের সকালটা শান্ত, নীরব। রাস্তা ঘাটে তেমন কোন মানুষ নেই। সারারাত গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে রাস্তায় চিড়চিড়ে পানি। হিমহিম পূবালী বাতাসে শীতশীত ভাব। দু’পাহাড়ের কোল ঘেঁষে প্রতিদিনের মত আজকেও সূর্য উঠেছে। আজকে সূর্যটা অন্যদিনের ছেয়ে একটু বেশিই লাল। মাঝে মাঝে সূর্যের আলো গাছের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে। যেন আলো ছায়ার লুকোচুরি। এসি কর্ম্পাটমেন্টের শীতলতার মাঝে .....

নিম্ন মধ্যবিত্ত ব্যাচেলর ফেসবুক সেলিব্রেটি

আধা-পাকা চুল, আর আয় বুড়ো খোঁচা-খোঁচা দাড়িওয়ালা সেন্টু মিয়ার দুঃখের শেষ নেই। দুঃখও কেউ বুঝেনা। যেমন সে দিন সেন্টু মিয়া ইশারা ইঙ্গিতে তার মাকে বললো, “মা, মাথার চুল সব সাদা হয়ে যাচ্ছে”। সেন্টু মিয়ার মা সরাসরি উত্তরে বলল, “তবে, মেহেদি লাগাও”। এবার কুরবানির ঈদে আরেক বার সুযোগ পেয়ে তার মাকে আবারও বললো, “মা, মাগো… .....

অচিন পাখির প্রেম

“আজ কেমন যেন লাগছে সব কিছু হঠাৎ করে ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে বেড়িবাঁধে বসে-বসে ভাবছে পাভেল আজ সুখের সব কেন্দ্রস্থল থেকে বিচ্ছুরিত হতে যাচ্ছি” দূরে খেলার মাঠ আর নদীর দিকে তাকিয়ে, “ইস! এই মাঠে বুঝি আর খেলা হবে না, খেলা শেষে দৌড় দিয়ে বন্ধুদের সাথে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া হবে না” । আজ সে নিজের সোনার .....

দ্যা বাঁশের খুঁটির ব্যাংক ইজ হ্যাকড

ওয়ানস আপন এ টাইম ইন দ্যা ইয়ার অব ১৯৯৮। তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। রোজ রোজ ক্রিকেট ম্যাচের টাকা আর নতুন ব্যাট-বল কিনার টাকা আম্মার দেওয়ার টিফিনের টাকা থেকে বাঁচিয়ে ঠিক পুষিয়ে উঠতোনা। অথচ অন্যদিকে আমার ছোট আপা দিব্যি টিফিনের টাকা জমিয়ে পরে আম্মাকেও দিতো ওনার হাতের টাকার টান পরলে। আম্মার বিশ্বাসভাজন কন্যা বা .....

আলিফ-লায়লা

তখনো সন্ধ্যা নামেনি, এরই মধ্যেই আম্মার ডাক, ‘তাড়াতাড়ি ঘরে আই’। লাল চায়ের সাথে মুড়ি খেয়ে সন্ধ্যায় পড়তে বসাযে কি কষ্টের আম্মা এ কথা বুঝতেই চাইতেন না। সারাদিন শুধু একই কথা, ‘পড়’, ‘পড়’…। আর এমনিতেই লাল চা আর মুড়ি আমার দু’চোখের বিষ। আম্মাকে যখনিই বলি, আম্মা খিদে লাগছে, আম্মার ওই একই কথা, “যা মুড়ি খা”। .....