মুনতাহা’র বাপ
বর্তমান আধুনিক বাপদের জন্য বাচ্চা-কাচ্চার ন্যাপি চেঞ্জ করা একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই প্রজন্ম যারা বাচ্চা-কাচ্চার টাট্টি-মাট্টি থেকে ১০০ হাত দুরে থাকতাম।
ওইদিন ঘুমের ঘোরে একটু গরম গরম কি যেন অনুভব করলাম। মনে হচ্ছে কক্সবাজারের হালকা গরম জলে গা ভিজিয়ে সমুদ্রের পানিতে শুয়ে আছি। পরে দেখা গেলো মেয়ে হিসু করে দিয়েছে।
আমার প্রতিদিনকার ৯ ঘণ্টার গড় ঘুম এখন ৫ ঘণ্টায় নেমে এসেছে। মেয়ে হঠাৎ কান্না করে উঠে… এরপর ‘ও কান্দে না.. কান্দে না..’ বলতে হয়। আকাশ বাতাসের কত গল্প বলতে হয়। ছেলে মেয়ের কান্না থামানোর জন্য বাপদের কতশত গান শিখতে হয়। কবিতা বলতে হয়। কত কত আউলা-ঝাউলা কথা আউড়াতে হয়। মাঝে মাঝে মাথায় শিং লাগিয়ে সার্কাসের জোকার সাজতে হয়।
মেয়ের কান্না রেকর্ড করে মোবাইলে অ্যালার্ম টোন দিয়েছি। এই টোনে সকালে অফিসের জন্য ঘুম থেকে উঠি। মাঝে মাঝে অ্যালার্ম বাজার আগেই মেয়ে পা দিয়ে নাক বরাবর গুঁতা মারে। তারপর উঠি।
কয়দিন পর মেয়ে হাতের আঙ্গুল ধরবে। অফিসে যেতে সাথে পথ ধরবে। অফিসে যেতে দেরি হবে। অফিসের স্যার বকা দিবে। তারপর আমি মেয়েকে বকা দিব। মেয়ের মা রাগ করবে!
এই তো জীবন। জীবন সুন্দর। অদ্ভুত সুন্দর।
পিচ্চি-পাচ্চার জন্যই জীবন এত সুন্দর।
ভালোবাসা সকল পিচ্চি ফেরেশতাদের প্রতি।
–রাশেদুল হায়দার (‘মুনতাহা’র বাপ)
Leave a Reply