All post of 'স্মৃতির পাতা'

শুভ জন্মদিন ২০২২

আজ আমার তেত্রিশ মতান্তরে পঁয়ত্রিশতম শুভ জন্মদিন! (বয়সে করোনাকালিন হিসেব বাদ দেয়া হয়েছে) ছবিটি আনুমানিক ২০ বছর আগের হারিকেন জমানার। ছত্রিশ ফিল্মের কোডাক ক্যামেরার। মেঘে মেঘে বয়স তো আর কম হলো না। সেই ১৫ টাকা সের চাল সময়কার ছেলে আমি। ৪০ টাকা নিয়ে বাজারে যেতাম। এর মধ্যে মাছ-তরকারি, মুদি সদায় সহ দুই টাকা বাঁচিয়ে .....

আমি আর আমি নেই!

আজ সেই দিন, যে দিন আমি তিন বার ঢোক গিলার পর জ্ঞান হারায়। একটু পরে হুশে আশার পর পানি পানি বলে আবার জ্ঞান হারায়। পরে মানুষজন মুখে পানি ঝাঁপটা দিয়ে আমাকে আবার জ্ঞানে ফিরান। জ্ঞানে ফিরে আমি সজ্ঞানে জিজ্ঞাসা করি আমি এখন কোথায়! একটু হালকা হইচইয়ের কারণে তেমন করাও কথা আমি শুনতে পারিনি। তবে .....

আজ আমার তৃতীয় শুভ বিবাহ…বার্ষিকী!

শিশুরা বড় হলে স্কুলে যায়! আর পুরুষ মানুষ করে বিয়া!তবে পুরুষ মানুষের এই বিবাহকে শুভ-বিবাহ বলাতে আমার একটু ভিন্ন মত আছে! যাহা নিম্নে অতি-সংক্ষিপ্তাকারে বিবাহের দিনের কয়েক ঘণ্টার বর্ণনা থেকে আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন! আমার বিয়ার চাঁদ উঠছে! ওই দিনের মত আমাকে এত গুরুত্ব আর কেউ কোন দিন দেয় নাই। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রাইভেট .....

ডাল.. ডাল.. ডাল..!!!

ইউনিভার্সিটির হলের ডাল আমরাও খেয়েছিলাম। সে ডাল এমন স্বচ্ছ আর বিশুদ্ধ ছিলো যে, ডালের দিকে তাকালে নিজের চেহারা দেখা যেত। এমন কি ডালের দিকে তাকিয়ে আমরা চুলের স্টাইল পর্যন্ত ঠিক করতাম। সেই ডাল খেয়ে আল্লাহর রহমতে আমরা সুস্থ শরীরে চার বছর কাটিয়েছি। বর্তমানে বিয়ে-শাদি করে ঘর-সংসার করছি। .....

এটা দুর্ঘটনা না, এটা হত্যা!!

কি মর্মান্তিক! কি মর্মান্তিক! মানুষকি এমনও হয়? এমন নির্দয়, নির্মম আর বর্বর হয়। ওরা কি ছোট বেলায় মায়ের আদর পায়নি। পরিবারের ভালোবাসা পায়নি। ওদের কি স্ত্রী-সন্তানাদি পরিবার-পরিজন নেই? ওরা কি বুঝেনা সন্তানের প্রতি আদর স্নেহ মমত্ববোধ আর অন্তরের টানের কথা। বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার .....

সন্দ্বীপের মানুষের জীবনের মূল্য কতটুকু?

গত কয়েকদিন আগে ট্রলারে করে চট্টগ্রাম আসার সময় আমার মনে এই প্রশ্ন জাগলো। সন্দ্বীপের মানুষের জীবনের দাম কত? সাগরের একটা উত্তাল ঢেউ, নাকি অসচেতনতা আর অবহেলা? যেটাই ধরিনা কেন বলি হচ্ছে কিন্তু ঐ সাধারণ মানুষগুলো। এত অল্প মূল্যে মানুষের জীবন শেষ হতে পারে তা নিতান্তই দুর্ভাগ্যজনক! সন্দ্বীপের রাজনীতিবিদরা, সমাজ সেবকরা চাইলে কি এই দু:খ-দুদর্শা .....

প্রলয়ংকারী ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১

প্রলয়ংকারী ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ জেগে থাকা কিছু স্মৃতি ২৯ই এপ্রিল দিনের বেলা, প্রতিদিনের মত এদিনও ছিল স্বাভাবিক, সারাদিন ধরে যে যার মত কাজ করছে । মোশারাফ ভাইয়ের বাপ, আমার তালই, সারাদিন খেত-খামারে কাজ করে ঘরে ফিরেই প্রতিদিনের মত উচ্চস্বরে-সুর করে দোয়া-দরুদ পড়ছেন । বাড়ির আরেক জেঠা, বোরহান ভাইয়ের বাপ, সন্ধ্যায় গরু-ছাগল গোয়ালে বেঁধে প্রতিদিনের মত .....

লাশের সাথে কথোপকথন

নির্বাক হয়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি লাশগুলোর ছবিতে। ওরা কথা বলছে, কি যেন বলতে চাচ্ছে আমাদের। সম্ভবত তাঁদের ছাত্রদেরকে কোন শেষ উপদেশ দিচ্ছে। আমাদেরকে শেষ কোন হিসেব বুঝিয়ে দিচ্ছে। সন্তানদের কারও হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে। না হয় শাসকগোষ্ঠীর কাছে কোন অভিযোগ করছে। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলছে, আমরা বেঁচে থাকতে চাই। আমরা সাইকেল চালিয়ে .....

প্রথম আলোতে বিদায় কৃতজ্ঞতানামা

কৃতজ্ঞতানামা আজ প্রথম আলোতে আমার শেষ অফিস। কাল থেকে আমি প্রথম আলোর অতি গুরুত্বপূর্ণ আইডি কার্ড হারাবো। রাত-বিরাতে চলতে ফিরতে এই আইডি কার্ড আর সাথে থাকবেনা। কাল থেকে প্রথম আলো অফিসে ঢুকতে আমাকে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষাধিন থাকা লাগবে। রিসেপশন থেকে ভেতরে কল দিয়ে অনুমতি মিললেই তবে ভেতরে প্রবেশ করতে পারব। আজকে আর কালকের মধ্যে .....